খুলনায় মাদক মামলায় দুই কারবারির যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদের দু জনের ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন, যশোর জেলার শার্শা উপজেলার ইছাপুর গ্রামের জনৈক কিনারউদ্দিনের ছেলে সোহরাব হোসেন এবং একই উপজেলার শংকরপুর গ্রামের জনৈক ইউসুফ আলীর ছেলে ফরিদ বিশ্বাস।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আবদুর রহিম ও আব্দুল্লাহ আল বাকী। সাজাপ্রাপ্ত দু আসামি পলাতক রয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক নীলা কর্মকার এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চসহকারী তানভীর হাসান ইভান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল গোপন সংবাদের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে একটি মাইক্রোযোগে কিছু মাদক দ্রব্য শার্শা থেকে ঢাকায় যাবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডুমুরিয়া থানার পুলিশ ওই দিন দুপুর ২ টার দিকে চুকনগর ১৮ মাইলে অবস্থান করতে থাকে। গোপন সংবাদ অনুযায়ী প্রাইভেটকার (যার নং ঢাকা মেট্রো ক ০৪ ০৭৭৬) চেকপোষ্টের কাছে এলে পুলিশ তাদের থামার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারা পুলিশের কথায় কর্নপাত না করে সামনের দিকে এগতে থাকে। পরে পুলিশ মাইক্রো চারপাশ ঘিরে ফেলে এবং তাদের চ্যালেঞ্জ করে প্রাইভেট কারের দরজা এবং সিটের নিচ থেকে ৪৬০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এস আই হান্নান শরীফ বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন (যার নং ৩১)। একই বছরের ২৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইলিয়াস ফকির উল্লেখিত ৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
খুলনা গেজেট/এমএম